সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

জয় বাংলা থেকে বাংলাদেশ/সেলিম রেজা/ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি : বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্য কেন্দ্র। 

জয় বাংলা থেকে বাংলাদেশ/সেলিম রেজা/ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি : বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্য কেন্দ্র। 

 

জয় বাংলা ধ্বনি থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম এ কথা এখন সবাই স্বীকার করছে । জয় বাংলা ধ্বনি গত শতকের ষাট ও সত্তর দশকে বাঙালী মাত্রই প্রাণে নিয়ামক হিসেবে দোলা দিয়েছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালী স্বাধীনতা অর্জন করে নেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠ থেকে নির্গত ‘জয় বাংলা’র মতো রাজনৈতিক ধ্বনি। বাঙালীর জীবন, সংস্কৃতি ও রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হয়ে উঠেছিল বাংলা বা বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের উৎপত্তি ও জয় বাংলা।

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানব বসতি গড়ে উঠেছিল। আমরা ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাই অন্তত ত্রিশ হাজার বছর আগে পাথর যুগের মানুষের বসবাস ছিল এ ভূখণ্ডে। কিন্তু প্রাচীন ইতিহাস থেকে বাংলাদেশকে বাদ রাখা হয়েছিল। বলা হতো ব-দ্বীপ বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে সমুদ্র থেকে বড় জোর দুই হাজার বছর আগে।

দীর্ঘ ইতিহাসে আমরা এভাবেই প্রত্যক্ষ করি নানা বহিঃশত্রুর দ্বারা বাংলাকে পদানত হতে, শাসিত হতে, নিপীড়িত হতে। এরই ধারাবাহিকতায় ইংরেজরা প্রথমে বাংলা পরবর্তীতে সমস্ত ভারতকে উপনিবেশ হিসেবে শাসন করা শুরু করে। বাংলার নেতাজী সুভাষ বোস বলেছিল আমাকে রক্ত দেও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছেন, আমরা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিবো তবু এ দেশকে শত্রু মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ । হয়েছেও তাই।

প্রশাসনিক সুবিধার কথা বলে বাংলা ভাগ করে স্বাধীনতার আন্দোলন নস্যাত করা ছিল ব্রিটিশদের কূটকৌশল। এ সময় খুব বেগবান হয়ে ওঠে স্বদেশী আন্দোলন। এই স্বদেশী আন্দোলন চলাকালীন এবং বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনের সময়েই প্রথম ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি উচ্চারিত হতে দেখা যায়। আন্দোলনের সময় ‘সোনার বাঙ্গালা’ নামে গোপন ইশতেহার প্রকাশ ও প্রচার ঘটেছিল। সেই প্রথম ১৯০৬ সালে ‘জয় বাংলা’ উচ্চারিত হয়েছিল। একই সঙ্গে আমাদের স্মরণে আসে যে ওই সঙ্কটকালে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘মুসলিম লীগ’ এর জন্ম হয়।

ঔপনিবেশিক শাসনের নিপীড়ন, নির্যাতন আর বঞ্চনার ইতিহাস আমাদের কমবেশি জানা। ফরাসী বিপ্লব ও শিল্প বিপ্লবের প্রভাব তখন সমগ্র বিশ্বে। ভারত বিশেষ করে বাংলা সেই প্রভাবমুক্ত থাকল না। ইউরোপীয় জ্ঞান আলোকে ও চর্চায় কিন্তু বাঙালী তরুণ পশ্চিমা জাতীয়তাবাদের আদর্শে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখলেন। রাজা রামমোহন রায়, মধুসূদন দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম প্রমুখ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীদের ব্যাপক তৎপরতায় স্বাধীনতা শব্দটি সামাজিক ভিত্তি পেতে থাকল। তখনও স্বাধীনতা ও ঔপনিবেশিক শক্তিবিরোধী রাজনীতির সাক্ষাত আমরা পাই না। বাঙালীর সংস্কৃতির এই আধুনিক ও নবতরঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলাম আগমন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। শত-শত বিপ্লবী শহীদ হয়েছেন কিন্তু বাংলার স্বাধীনতা আসেনি। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় আহবান করেছিলেন ‘জয় বাংলা ‘বলে এমন একটা মানুষ দেও বাংলার জন্য ঠিকই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯২০ সালে পৃথিবী তথা বাংলা বুকে আগমন ঘটেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার পরপরই কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিজে ভারত থেকে বাংলাদেশ এনে জাতীয় কবিকে মর্যাদা শ্রদ্ধা ভালবাসা দিয়েছিলেন। ইতিহাস ঐতিহ্যের এক আত্মিক পরম্পরায় যোগ সূত্র পাওয়া যায় এ ঘটনার মাধ্যমে । ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি হিসেবে জয় বাংলা বিশাল কাজ করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা সাহস যুগিয়েছে জয় বাংলা ধ্বনি। হাজার হাজার বছরের বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য জয় বাংলা উপর ভিত্তি করে ঠিকে থাকবে।জয় বাংলা শুধু একটা শব্দ নয় এটা একটা শক্তি। জয় হোক বাংলাদেশের। জয় বাংলা।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD